২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেটের তুলনায় প্রায় ৬.৩% বেশি। এছাড়া, জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫% এবং মূল্যস্ফীতি ৭% নির্ধারণ করা হতে পারে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার হতে পারে ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। 

এদিকে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার কমিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়, যা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। এটি কার্যকর হলে, এবারই প্রথম আগের বছরের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার ছোট হতে যাচ্ছে। বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য করতেই আকার কমানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থবিভাগের কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আর্থিক, মুদ্রা ও বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে এ তথ্য জানা গেছে। 

নতুন অর্থবছরের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মেগা প্রকল্প গ্রহণ না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তবে বাজেটের আকার কমলেও এনবিআরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা না কমে বরং বাড়ছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের জন্য ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করছে অর্থবিভাগ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আহরণ অনেক কম হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে। 

নতুন অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫.৫% এবং মূল্যস্ফীতির হার ৬.৫% প্রাক্কলন করছে অর্থবিভাগ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬% এবং মূল্যস্ফীতি ৬% প্রাক্কলন করা হয়েছিল। অবশ্য সংশোধিত বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫.২৫% এবং মূল্যস্ফীতি ৮.৫% প্রাক্কলন করেছে অর্থবিভাগ। 

এছাড়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাজেট বাস্তবায়নে সাশ্রয়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কাটছাঁট হচ্ছে। এছাড়া, উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ধীরগতি রয়েছে।