মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ঘুষ না দেওয়ায় ৯১টি ফাইল আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল তাঁর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে এই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে ।
নতুন এমপিওভুক্তির জন্য ১৫২টি আবেদন জমা পড়ে। পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামান ৪৭টি ত্রুটিপূর্ণ আবেদন বাতিল করে বাকি ১০৫টি ফাইল সহকারী পরিচালক আলমাস উদ্দিনের মাধ্যমে ডিডি আলমগীর কবিরের কাছে পাঠান। কিন্তু তিনি ৯২টি ফাইল পরিচালকের কাছে পাঠাননি ।
এর আগে, ২০২৫ সালের ১১ মার্চ, দুদক একই অফিসে অভিযান চালিয়ে ডিডি আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পেয়েছিল ।
অভিযোগ রয়েছে, ডিডি আলমগীর কবির ঘুষ ছাড়া ফাইল অনুমোদন করেন না। এমপিওভুক্তি ও বদলির ক্ষেত্রে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করেন তিনি ।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, "ঘুষের জন্য ফাইল আটকে রাখার অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এবার ৯২টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিগগিরই ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠানো হবে" ।
মাউশির রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামান বলেন, "নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিডি আলমগীর কবির নানা অজুহাতে তা করেননি। এর আগেও যখন তিনি ১৫১টি ফাইল আটকে রেখেছিলেন, তখন বহুবার অনুরোধ করেও কোনো লাভ হয়নি" ।
আলমগীর কবির ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মাউশির রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে উপপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম করে এমপিও দেওয়ার অভিযোগ উঠলে তদন্ত চলাকালে তাঁকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বদলি করা হয়। তবে তিনি মাউশিতে ফেরার জন্য তৎপরতা চালিয়ে যান এবং ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর তাঁকে পুনরায় মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক হিসেবে পদায়ন করা হয় ।
ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |