জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (AA) সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং নিজেদের স্বার্থে যার সঙ্গে প্রয়োজন, তার সঙ্গেই যোগাযোগ করবে। তিনি আরও বলেন, “কে কী বলল, যায় আসে না” ।
বর্তমানে রাখাইন রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ড. খলিলুর রহমান বলেন, “আমাদের সীমান্তের ওপারে এখন নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির। এটা তো আমাদের সীমান্ত এবং এটা আমাদের সার্বভৌম সীমান্ত। এই সীমান্ত আমাকে ম্যানেজ করতে হবে, রক্ষা করতে হবে, শান্তিপূর্ণভাবে রক্ষা করতে হবে। এটা একটা ক্রসবর্ডার। এজন্য ওপারে যেই থাক তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখব” ।
বাংলাদেশের এই যোগাযোগের বিষয়ে মিয়ানমারের সামরিক সরকার (তাতমাদো) একটি কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে ড. খলিলুর রহমান এই বিষয়ে বলেন, “মিয়ানমার আরাকান আর্মিকে একটা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে দেখে কিন্তু তারাও কথা বলছে। তারা যুদ্ধবিরতির কথা বলছে” ।
বাংলাদেশ চায়, রাখাইনে গঠিত নতুন প্রশাসনে রোহিঙ্গাদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হোক। ড. খলিলুর রহমান বলেন, “আমরা চাই, সেখানে রোহিঙ্গা যারা আছেন তাদের ওপর যেন কোনো অত্যাচার না হয়। তাদের বিরুদ্ধে যেন বৈষম্যমূলক আচরণ করা না হয়। তারা যেন আবার দলে দলে বাংলাদেশে না আসে” ।
মানবিক করিডর নিয়ে আলোচনার বিষয়ে ড. খলিলুর রহমান স্পষ্ট করেন যে, বাংলাদেশ এখনো এ নিয়ে কোনো চুক্তি করেনি। তিনি বলেন, “আমরা মানবিক করিডর নিয়ে কোনো আলোচনা করিনি। আমরা মানবিক করিডর কিংবা অন্য কিছু নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে এখনো কোনো চুক্তি করিনি” ।
বাংলাদেশের এই অবস্থান বাস্তববাদী এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ও মানবিক দিক বিবেচনায় গৃহীত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, দেশের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে, তবে কোনো তৃতীয় পক্ষের হয়ে 'প্রক্সি যুদ্ধ' বা ছায়াযুদ্ধে জড়ানো হবে না।
ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |