১২ জুলাই ২০২৫
বন্যা মোকাবেলায় কেবল ত্রাণ বিতরণ নয়, বরং স্থায়ী ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা (বা সচিব/মন্ত্রী)। তিনি বলেন, প্রতি বছর বন্যা প্রবণ এলাকাগুলোতে শুধু সাময়িক সহায়তা দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; এর জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন জরুরি।
শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি বলেন, “আমরা যেসব ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছি, তা অস্থায়ী সমাধান মাত্র। আমাদের এখন থেকেই বাঁধ নির্মাণ, নদী খনন, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিতে হবে।”
বন্যা নিয়ন্ত্রণে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে দীর্ঘমেয়াদী বাঁধ ও নদী খননের প্রস্তাবনা তৈরির কথা বলা হয়েছে।
বন্যা আগে থেকেই সঠিকভাবে পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে স্থানভিত্তিক পূর্বাভাসের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বন্যা-পরবর্তী সময়ে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর জন্য স্থায়ী বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা ও জীবিকার ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন ও এনজিওদের সমন্বয়ে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণের ঘোষণা দেন তিনি।
বিদ্যালয় ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে ভবিষ্যতের দুর্যোগে ব্যবহার উপযোগী করতে টেকসই নির্মাণে জোর দেওয়া হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, “প্রতি বছর একই এলাকায় বারবার বন্যা হলে কেবল ত্রাণ দিয়ে সমাধান সম্ভব নয়। আমাদের স্থায়ী ভিত্তিতে সমস্যার মূলে গিয়ে সমাধান খুঁজতে হবে।”
দুর্যোগে সবাইকে সচেতন ও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকারের পাশাপাশি জনগণের অংশগ্রহণও জরুরি। প্রস্তুতি, সচেতনতা এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকলে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।”
ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |