গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা। এ মুক্তির অনুমতি দেওয়া হয় ফারজানা রুপার মায়ের মৃত্যুতে জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য। গতকাল বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁরা কারাগার থেকে বের হন। পুলিশি পাহারায় ময়মনসিংহের ঘাগড়া দাড়িয়াকান্দা গ্রামে পৌঁছান এবং রাত ৯টায় জানাজায় অংশ নেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁদের আবার কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
ফারজানা রুপার মা হোসনে আরা বেগম (৮০) গত মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহ নগরের সেহরা ধোপাখলা এলাকায় নিজ বাসভবনে মারা যান। মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য ফারজানা রুপা ও তাঁর স্বামী শাকিল আহমেদকে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করা হয়। ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদনের পর তাঁদের চার ঘণ্টার জন্য মুক্তি দেওয়া হয়।
শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা একাত্তর টেলিভিশনে বার্তা প্রধান ও প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ২১ আগস্ট তাঁদের ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর উত্তরায় ফজলুল করিম নামের একজনের মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারের পর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
প্যারোলে মুক্তির পর ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ মায়ের মরদেহের পাশে কিছু সময় কাটান। এ সময় তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা তাঁদের পাশে ছিলেন। মায়ের দাফন শেষে শাশুড়ির কবরের পাশে দোয়ায় অংশ নেন শাকিল আহমেদ।
প্যারোলে মুক্তির সময় ফারজানা রুপার হাতে হাতকড়া ছিল না, তবে শাকিল আহমেদের এক হাতে হাতকড়া ছিল।
এ বিষয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাই সিকিউরিটি কারাগারের ডেপুটি জেল সুপার আনন্দ কুমার শীল জানান, ফারজানা রুপা কাশিমপুর মহিলা কারাগারে এবং শাকিল আহমেদ হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দী ছিলেন। ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদনের পর তাঁদের চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়।
এটি তাঁদের জন্য একটি আবেগময় মুহূর্ত ছিল, যেখানে তাঁরা মায়ের শেষ বিদায় জানানোর সুযোগ পেয়েছেন।
ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |