বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের কোনো অংশে তিনি বা তার সহকর্মীরা থাকবেন না। তিনি বলেন, "আমাদের দায়িত্ব এখানেই শেষ। আমরা পরবর্তী সরকারের কোনো অংশ হব না।"
লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে আয়োজিত এক আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক, সাংবাদিক ও গবেষকরা।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পরবর্তী সরকার গঠনে জাতিসংঘ, ওআইসি এবং সার্ক-এর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ‘ত্রিপাক্ষিক মিশন’ কাজ করবে। সেই মিশন সব দলের মতামতের ভিত্তিতে একটি জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, "এই সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তরের কাজটি হতে হবে সম্মানের সঙ্গে। তাই আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিচ্ছি এবং নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ রাখছি।"
প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি সেতুবন্ধন মাত্র। “আমরা কোনো পক্ষ নই। আমাদের কোনো দল নেই, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই। আমরা একটি দায়িত্ব পেয়েছি এবং সেটা পালন করেই বিদায় নেব।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কারকরা কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। আমরা কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি না। বরং আমরা এমন একটি ব্যবস্থা রেখে যেতে চাই, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্রের ভিত্তি হবে।”
অধ্যাপক ইউনূস জানান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সহায়ক ভূমিকা রাখছে। ইতিমধ্যে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিবেশী দেশগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই অবস্থান স্পষ্ট করছে যে তারা কেবল একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম করতে চায়, নিজস্ব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল নয়। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার যেন নিরপেক্ষ থেকে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে পারে—এটাই এখন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রত্যাশিত।
উৎস: চ্যাথাম হাউস সংলাপ ও সরকারি বিবৃতি
ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |