বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক ও সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত থাকবে। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, বরং বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
লন্ডনের প্রভাবশালী থিঙ্কট্যাংক চ্যাথাম হাউস-এ এক আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ব্রনওয়েন ম্যাডক্স।
আলাপচারিতায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, "আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জাতীয় ঐকমত্য গঠনের প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে দলটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশত্যাগের পর জনগণ মুক্তির অনুভূতি প্রকাশ করেছে। কিন্তু দলটির নেতারা এখনো অনুশোচনা করেননি, দুঃখ প্রকাশ করেননি। বরং বিদেশ থেকে উসকানি দিচ্ছে। তাই আমাদের জন্য এটি শেষ, কিন্তু তাদের জন্য নয়।"
অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি প্রধান দায়িত্ব হিসেবে সংস্কার, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং অবাধ নির্বাচন আয়োজনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে ইউনূস জানান, জুলাই মাসে সব দলের ঐকমত্যে "জুলাই সনদ" ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন। ১৭ বছর পর সত্যিকারের একটি ভোটের সুযোগ পাচ্ছে জনগণ।"
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সমালোচনার জবাবে ইউনূস দাবি করেন, "তাদের জীবনে এত স্বাধীনতা কখনো ছিল না। তারা যা খুশি বলতে পারছে।"
আন্তর্জাতিক সমর্থন সম্পর্কে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, জাপান, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছে।
বাংলাদেশে দুর্নীতি গভীরভাবে প্রোথিত বলে মন্তব্য করেন ইউনূস। তিনি বলেন, "সবকিছুই দুর্নীতিগ্রস্ত—সিস্টেম, মানুষ, প্রক্রিয়া। তাই আমরা অনলাইনভিত্তিক পরিষেবার দিকে এগোচ্ছি। পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বিভিন্ন সেবায় অনলাইন সরবরাহ চালু করা হয়েছে।"
সংস্কার প্রস্তাবের ওপর গণভোট প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, "গণভোট অর্থহীন হবে, কারণ অনেকেই বুঝবেন না তারা কিসের জন্য ভোট দিচ্ছেন। বরং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যই গুরুত্বপূর্ণ।"
ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ইউনূস জানান, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। মোদি তাকে জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা হচ্ছে তা ভারতের নিয়ন্ত্রণে নেই।
ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |