বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির বিচার প্রক্রিয়া এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের প্রয়োগ।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। এই প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, যার নেতৃত্বে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রয়েছেন।
২০২৫ সালের ১০ মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞা সাইবার স্পেসসহ সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যাতে ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারে। এই আইনের আওতায় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।
এই সিদ্ধান্তের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এক বিবৃতিতে বলেছে, "আওয়ামী লীগ যে সীমাহীন অন্যায়, জুলুম ও লুটপাট করেছে, তাতে এ দলটার বিরুদ্ধে জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে ফুঁসে উঠেছে" ।
সরকার জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে। এছাড়া, জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে ।
ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |